রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক, এনইউপি, এনডিসি, এফডব্লিউসি, পিএসসি গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। বর্ণাঢ্য সামরিক কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক গত ১৫ অক্টোবর ১৯৮২ তারিখে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৫ এপ্রিল ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর রিয়ার এডমিরাল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
সূদীর্ঘ চাকুরিকালে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পরিসরে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেটসহ প্রায় সকল ধরণের যুদ্ধ জাহাজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্টাফ ডিউটি ও এরিয়া কমান্ডার হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। নৌবাহিনী ফ্রিগেট বানৌজা আবু বকর এর অধিনায়ক, কমান্ডার চট্টগ্রাম নেভাল এরিয়া এর চিফ স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জোনাল কমান্ডার, নৌ সদর দপ্তরে পরিচালক নৌ গোয়েন্দা, পরিচালক নৌ সিগন্যালস্ এবং নৌ সচিব, ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কমান্ডার বাংলাদেশ নেভী ফ্লিট (কমব্যান), কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া (কমখুল) তাঁর নিয়োগগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস্ হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক তাঁর চাকুরি জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। চাকুরি জীবনের প্রথমদিকে তিনি প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে গমন করেন। তিনি ভারত থেকে সিগন্যালস্ কমিউনিকেশন বিষয়ে স্পেশালাইজেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকাস্থ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ হতে স্টাফ কোর্স, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ঢাকা হতে আর্মড্ ফোর্সেস ওয়ার কোর্স এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ভারত থেকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন এবং উক্ত সময় একই সাথে তিনি মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে সফলতার সাথে এমফিল ডিগ্রী লাভ করেন। বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে সিনিয়ার স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। পেশাগত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে অনন্য সাফল্যের জন্য তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসাসহ নৌ উৎকর্ষ পদকে ভূষিত হন।
তিনি বেগম ফারজানা কবিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।