আজ ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখ রবিবার বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণলয়ের মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্য, বিদেশী কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামরিক ও অসামরিক অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর নবনির্মিত ০৬ টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরসহ ০৩ টি জোন, ০৬ টি জাহাজ এবং ০৭ টি স্টেশনে নব সংযোজিত VSATNET System ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক ১০ জন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ১০ জন, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক ১০ জন এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ১০ জনসহ মোট ৪০ জনকে প্রদান করেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী ভাবনার ফলেই আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবী সম্বলিত “The Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 প্রণীত হয়। পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। বিগত ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’’ উত্থাপন করে। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ২টি জাহাজ ও ২টি বোট এবং প্রেষণে আগত ২২০ জন নৌ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার পথ চলা শুরু করে। পরবর্তীতে কালের পরিক্রমায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্লাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকান্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য। কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিনত হয়েছে।
আসন্ন দিনগুলোতে দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণে সততা, পেশাদারিত্ব এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে বদ্ধ পরিকর কোস্ট গার্ড। সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলস কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।