প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এসকল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাকে নিরাপত্তা বিষয়ক নানাবিধ প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কোস্ট গার্ড সর্বদা বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্র বন্দর সমূহকে নিরাপত্তা বিষয়ক সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহৎ সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম এর বহিঃনোঙ্গরে দেশী ও বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানকালীন দেশীয় এজেন্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত ওয়াচম্যানগণ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত ওয়াচম্যানদের কারণে বাণিজ্যিক জাহাজসমূহে চুরি ডাকাতিসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের সমূদ্র বন্দরের মান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজে নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়াচম্যানগণকে যুগোপযোগী, দক্ষ ও দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষনের ভুমিকা অপরিসীম। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে প্রথম বারের মত বন্দর ওয়াচম্যানদের ৫ দিন ব্যাপী নিরাপত্তা বিষয়ক বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। উক্ত বুনিয়াদ প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বমোট ৭৪ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, জাহাজে অগ্নি নির্বাপণ ও সমুদ্রে জীবন রক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থাকে যেকোন ধরনের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্তে ভবিষ্যতেও কোস্ট গার্ড কর্তৃক এধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।