প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে প্রায়শর মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি এবং বেসামারিক সদস্যগণ বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে অব্যাহত সংঘাতের ফলে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে মানব পাচার, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন ধরণের প্রচেষ্টা দৃষ্টিগোচর হয়। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নাফ নদী এবং তৎসংলগ্ন এলাকা ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় অত্যাধুনিক হাইস্পীড বোট ও টহল জাহাজের মাধ্যমে দুঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সদস্যগণ সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মতৎপরতা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ রবিবার টেকনাফের নাফ নদী সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, পিএসসি (Rear Admiral Mir Ershad Ali, OSP. NPP, ndc, psc)। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল ধরণের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা টহল অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।