মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, এনবিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে "বঙ্গবন্ধু কর্ণার" উদ্বোধন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সমুদ্র সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জন্য নিজস্ব সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস এ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন, যা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সংসদে তাঁর দূরদর্শিতা ও একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের জন্য মেরিটাইম ফোর্স হিসেবে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’ শীর্ষক একটি আধা-সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিরোধী দলে থাকাকালীন একটি বিল উত্থাপন করেন যা পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ফলশ্রুতিতে, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক কোস্ট গার্ড আইন ১৯৯৪ বিল অনুমোদনের পর ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘গার্ডিয়ান এ্যাট সি’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
জাতির জনকের স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চির অম্লান রাখতে বঙ্গবন্ধুর শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি, রাজস্ব, কর, শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা, বৈদেশিক বানিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা, স্বাধীনতার ঘোষনা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্মভিত্তিক এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা বই বঙ্গবন্ধু কর্ণারে স্থান পেয়েছে।